Other

রোজা কেন ফরজ করা হয়েছে রোজা সম্পর্কে আলোচনা

রোজা কেন ফরজ করা হয়েছে: রোজা ইসলামের পাঁচটি মৌলিক স্তম্ভের একটি। রোজা একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। পবিত্র কোরআনে সূরা জারিয়াতের 56 নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন, “আমি মানুষ ও জিন জাতিকে আমার ইবাদত করার জন্য সৃষ্টি করেছি।” তাই প্রত্যেক মানুষের উচিত মহান প্রভুর ইবাদতের প্রতি মনোযোগী হওয়া এবং জেনেশুনে ইবাদত করা।

রোজা কেন ফরজ করা হয়েছে

বাংলাদেশের খবর পত্রিকায় মিরাজ রহমান লিখেছেন, যে কোনো আমল-ইবাদত করার আগে জানতে হবে কেন এই আমল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং আমল করার উদ্দেশ্য বা উপযোগিতা কী এবং এই আমল-ইবাদতের ফজিলত বা সওয়াব কী? এতে মনোযোগ বৃদ্ধি পায় এবং আমল ও ইবাদতে তৃপ্তি আসে। রমজানের রোজা কেন ফরজ তা জানা প্রত্যেক মুসলমানের কর্তব্য।

রমজান মুসলমানদের বিজয়ের মাস। মানুষের প্রধান শত্রু শয়তানের বিরুদ্ধে রোজা রেখে শয়তানকে পরাজিত করার নাম রমজানুল মোবারক। রমজানের রোজা রাখলে শয়তানের কুপ্রবৃত্তি ও প্রতারণা পরাজিত হয়।

রোজা সম্পর্কে আলোচনা

রোজা কখন ফরজ হয়? *রমজান মাসে রোজা কেন ফরজ করা হয়েছে? *অন্য কোন মাসকে রোজার জন্য কেন নির্বাচিত করা হয়নি? এরূপ প্রশ্ন অনেকের মনে দেখা দিতে পারে। হযরত শাহ ওয়ালিউল্লাহ মুহাদ্দেস দেহলবী (র.) এরূপ প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন।

‘হুজ্জাতুল্লাহিল বালেগাহ’ নামক বিখ্যাত গ্রন্থে তিনি উল্লেখ করেছেন, ‘অপর কোন মাসই যদি নির্ধারণ করার উদ্দেশ্য ছিল তাহলে এই মাস অপেক্ষা উত্তম আর কোনো মাস ছিল না, যাতে কোরআন মজীদ অবতীর্ণ হয়। তাছাড়া শবে-কদর হওয়ার সম্ভাবনা এই মাসেই অধিক।’

কোরআনে স্পষ্ট ঘোষণা করা হয়েছে যে, ‘রমজান মাস যাতে কোরআন নাজিল করা হয়েছে।’ এই মাসে কোরআন নাজিল হওয়ার কারণে এই মাসের শ্রেষ্ঠত্ব ও মাহাত্ম্য বহু গুণে বেড়ে যায়। ইসলামের অন্যতম রোকন রমজান মাসের রোজা ফরজ করার জন্য এর চেয়ে উত্তম মাস আর কি হতে পারে। সূরা কদর অবতীর্ণ করে আল্লাহতায়ালা শবে-কদরের যে মহিমা বর্ণনা করেছেন তা সর্বসম্মতভাবে রমজান মাসেই পড়ে।

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) রাসুলুল্লাহ (সা.) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন, যখন রমজান মাস আসে, তখন জান্নাতের সব দরজা খুলে দেওয়া হয় এবং জাহান্নামের সব দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। হজরত সাহল ইবনে সাদ (রা.) রাসুলুল্লাহ (সা.) থেকে বর্ণনা করেন যে, কেবলমাত্র রোজাদারদেরই জান্নাতের একটি দরজায় ডাকা হবে। যে রোজাদার তাতে প্রবেশ করবে। আর যে এতে প্রবেশ করবে সে কখনো তৃষ্ণার্ত হবে না।

রোজা ভাঙ্গার দোয়া রোজা খোলার নিয়ত

রোজা খোলার দোয়া আরবি

نَوَيْتُ اَنْ اُصُوْمَ غَدًا مِّنْ شَهْرِ رَمْضَانَ الْمُبَارَكِ فَرْضَا لَكَ يَا اللهُ فَتَقَبَّل مِنِّى اِنَّكَ اَنْتَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْم

আরবি নিয়ত বাংলা উচ্চারণ : নাওয়াইতু আন আছুম্মা গাদাম মিন শাহরি রমাজানাল মুবারাকি ফারদাল্লাকা, ইয়া আল্লাহু ফাতাকাব্বাল মিন্নি ইন্নিকা আনতাস সামিউল আলিম।

বাংলায় নিয়ত অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আগামীকাল পবিত্র রমজানের তোমার পক্ষ থেকে নির্ধারিত ফরজ রোজা রাখার ইচ্ছা পোষণ (নিয়্যত) করলাম। অতএব তুমি আমার পক্ষ থেকে (আমার রোযা তথা পানাহার থেকে বিরত থাকাকে) কবুল কর, নিশ্চয়ই তুমি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞানী।

রোজা ভঙ্গের দোয়া

আরবি:

اَللَّهُمَّ لَكَ صُمْتُ وَ عَلَى رِزْقِكَ وَ اَفْطَرْتُ بِرَحْمَتِكَ يَا اَرْحَمَ الرَّاحِيْمِيْن

বাংলা উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা লাকা ছুমতু ওয়া আলা রিযক্বিকা ওয়া আফতারতু বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমিন।

অর্থ : হে আল্লাহ! আমি তোমারই সন্তুষ্টির জন্য রোজা রেখেছি এবং তোমারই দেয়া রিযিক্বের মাধ্যমে ইফতার করছি।

কেন ফরজ করা হয়েছে
রোজা কেন ফরজ করা হয়েছে রোজা সম্পর্কে আলোচনা

আল্লাহ আমাদের সবাইকে রমজান মাসে রোজা রাখার তৌফিক দান করুক আমিন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button